Photo of Ad1

কচ্ছপ কেন এতদিন বাঁচে?দীর্ঘায়ু হওয়ার কারণ কী?

কচ্ছপ দেখে নি, এমন মানুষ, বোধ করি, বিরল। দেখতে একেবারে কিম্ভূতকিমাকার। এর সারা দেহ খোলস দিয়ে ঢাকা। খোলসের উপরের অংশকে বলে carapace এবং নিচের অংশকে বলে plastron. কচ্ছপ দীর্ঘকাল বেঁচে থাকে।



উপরে হেলেনা দ্বীপে বসবাসকারী কচ্ছপ জোনাথন 183 বছর বয়সী। ক্রমেই দৃষ্টিশক্তি ও ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলেছিল। সেটি খেত শুধু পাতা, ডাল ও ময়লা। ডঃ জো হিলসের নজরে আসায় তাকে শুশ্রূষা শুরু করলেন। খেতে দিলেন, আপেল, পেয়ারা, কলা, গাজর ও শশা। ক্রমশঃ সেটি সুস্থ হয়ে ওঠে। এটিই এখন পর্যন্ত জীবিত কচ্ছপদের মধ্যে সর্ববরিষ্ঠ।


একটি কচ্ছপের আকার কয়েক সেন্টিমিটার থেকে 2 মিটার পর্যন্ত হয়। পৃথিবীতে প্রায় 300 প্রজাতির কচ্ছপ আছে। এদের দীর্ঘায়ু হওয়ার পিছনে একাধিক কারণ আছে।


প্রথমত, এদের শক্তিশালী খোলস এদের আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অস্ত্র।


দ্বিতীয়ত, এরা মনুষ্য সমাগম থেকে অনেক দূরে থাকে। অন্যান্য শিকারী প্রাণী এদের পছন্দ করে না। কাজেই এরা নির্বিঘ্নে জীবন যাপন করতে পারে।


তৃতীয়ত, প্রয়োজনমতো এরা শরীরের তাপমাত্রা হ্রাস কিম্বা বৃদ্ধি করতে পারে যা জীবন ধারণের সহায়ক।


চতুর্থত, একমাত্র তরুণ কচ্ছপই প্রজনন করে, বৃদ্ধগুলো নিষ্ক্রিয় থাকে, যা দীর্ঘ জীবনের পরিপূরক।


সর্বাপেক্ষা যুক্তিসঙ্গত কারণ বের করেন জার্মান শারীরবৃত্তবিদ্ রাবনার 1908 খ্রিস্টাব্দে। তিনি জানান, ধীর বিপাক প্রক্রিয়ার ফলে কচ্ছপ দীর্ঘকাল বেঁচে থাকে। এক্ষেত্রে ইংরেজিতে একটি প্রচলিত প্রবাদ আছে : " Live fast, die young."


আশা করি সবাই ভালো আছেন। শুভ নববর্ষ ১৪২৮ -তে সকল ব্লগদর্শক বন্ধুদের সুস্বাস্থ্য, সফলতা ও শুভ কামনা এবং বছরটা সকলের সুখে কাটুক, এই আশা নিয়ে লেখা শেষ করছি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন
Photo of Ad1