Photo of Ad1

ঈগল, চিল অার বাজ পাখির মধ্যে পার্থক্য কী্

 ঈগল, চিল আর বাজ পাখি এরা সবাই শিকারী পাখি। এদের প্রধান উদ্দেশ্যই হলো শিকার করা। এরা তুলনামুলকভাবে এদের থেকে ছোট সব ধরনের পাখিকেই শিকার করে খাবারের চাহিদা মেটানোর জন্যে। এই সকল শিকারি পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হচ্ছে ঈগল।তবে এদের শিকার ধরার পদ্ধতি প্রায় একই রকম এরা অনেক উপর থেকে শিকার ধরে। তবে এদের আলাদা আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

ঈগল, চিল আর বাজ পাখি এরা সবাই শিকারী পাখি। এদের প্রধান উদ্দেশ্যই হলো শিকার করা। এরা তুলনামুলক ভাবে এদের থেকে ছোট সব ধরনের পাখিকেই শিকার করে খাবারের চাহিদা মেটানোর জন্যে। এই সকল শিকারি পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হচ্ছে ঈগল।তবে এদের শিকার ধরার পদ্ধতি প্রায় একই রকম এরা অনেক উপর থেকে শিকার ধরে। তবে এদের আলাদা আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

ঈগল

বিশ্বে চার প্রজাতির ঈগল রয়েছে। এরা সোনালি ঈগল, গস হক, স্প্যারো হক ও আমেরিকান ঈগল। সোনালি ঈগল এদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সোনালি ঈগলকে জাতীয় প্রতীক ও পাখি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। পাখিদের মধ্যে এরা সব চাইতে বড় বাসা বানায়। এদের বাসা ৬ মিটার গভীর এবং ৯১ সে.মি. বেড় বিশিষ্ট হতেও দেখা গেছে। এদের চোখের দৃষ্টি অসম্ভব প্রখর এবং শ্রবণ শক্তিও খুবই সংবেদনশীল। যে কোন পাখি, খরগোশ ও ইঁদুরসহ ক্ষুদ্র প্রাণী এবং পানির ওপরে ভাসমান মাছ ও জলজ সাপকে এরা তীব্র বেগে উড়ে এসে পায়ের ধারালো নখে বর্শার মতো গেঁথে ফেলে। তারপর উড়ন্ত অবস্থায় অথবা কোন ডালে বসে ধারালো বাঁকা ঠোঁট দিয়ে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খেয়ে ফেলে জীবন্ত শিকার। ঈগল পাখির গায়ের রং বাদামি, সোনালি ও সাদা রং মিশেল। অধিকাংশ হক ও ঈগল মাটিতে শিকার না দেখা পর্যন্ত আকাশে চক্কর দিতে বা গাছের ডালে বসে থাকে এবং দেখামাত্র উপর থেকে ঝাপিয়ে পড়ে শিকারকে আহত বা নিহত করে।

বাজ

বাজপাখি ঈগলের মতো তীব্র বেগে শিকারের পিছু ছুটে তাকে ধরে ফেলে। বাজপাখি আকারে ছোট। অনেকটা কাকের সমান। তাবে এরা শিকারি পাখিদের মধ্যে সবচাইতে দ্রুত বেগে উড়তে পারে। এছাড়া এদের দৃষ্টিশক্তি অত্যন্ত প্রখর। অনেক দূর থেকেই এরা শিকারের অবস্থান নির্ণয় করতে পারে। মূলত ছোট ছোট পাখি এরা শিকার করে থাকে। শিকারের খোঁজে আকাশের অনেক ওপর দিয়ে উড়ে বেড়ায়। উড়ন্ত কোন পাখি নজরে এলেই এরা পাখা গুটিয়ে নিচে নেমে আসে এবং পায়ের নখ দিয়ে শিকারকে গেঁথে ফেলে। বাজ পাখির মতো উত্তর গোলার্ধের পেরিগ্রিন ফ্যালকন ও জির ফ্যালকন এই দুই প্রজাতির বাজকেই এখন সচরাচর দেখা যায়।বাজপাখি ঈগলের মতো তীব্র বেগে শিকারের পিছু ছুটে তাকে ধরে ফেলে। বাজপাখি আকারে ছোট। অনেকটা কাকের সমান। তাবে এরা শিকারি পাখিদের মধ্যে সবচাইতে দ্রুত বেগে উড়তে পারে।

চিল

আমাদের দেশে একই গোত্রের চার প্রজাতির চিল রয়েছে। এরা হলো গোদা চিল, শঙ্খ চিল, সাধারণ চিল ও ভুবন চিল। চিল সাধারণত ৫০-৬০ সে.মি. লম্বা হয়ে থাকে। চিলের গায়ের রং লালচে হলুদ, গলা থেকে মাথা সাদা এবং বাহারি নৌকার দাঁড়ের মধ্যে ত্রিভুজ আকৃতির লেজ। চিলের চোখের নজর তীক্ষ্ণ। এরা অনেক উঁচু থেকেও নদী বা পুকুরের ছোট পুঁটি মাছের নড়াচড়াও দেখতে পারে। চিল সাধারণত আকাশে ডানা মেলে ভেসে বেড়ায়। নিচে পানিতে কোন মাছ বা ডাঙ্গায় মুরগি বা হাঁসের ছানা, কিংবা ইঁদুর জাতীয় ক্ষুদ্র প্রাণীর দেখা পেলেই চিল ছোঁ মেরে নিচে নেমে এসে পা দিয়ে অথবা ঠোঁট দিয়ে শিকার ধরে ফেলে।

অনেকের মনে হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে এদের উদ্দেশ্য যদি শিকার করাই হয়, তাহলে এরা শিকার থেকে কয়েক কিলোমিটার উপরে আকাশে ঊড়ে বেড়ায় কেন?? শিকারের কাছা কাছি থাকলেই তো পারে।। পাখিগুলো অনেক বোকা তাই না?

আসলে পাখিগুলো একদমই বোকা না। এরা আসলে শিকার করবার সময় একটা বিশেষ সায়েন্স এর শক্তি কে ব্যবহার করে অস্ত্র হিসেবে । অনেকেই ভাবি এসব শিকারি পাখির প্রধান অস্ত্র তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি অথবা তাদের গতি অথবা নখ-ঠোটের বিশেষ আকৃতি। এমন অনেক কিছুই ভাবতে পারি। কিন্তু এদের তার থেকেও শক্তিশালী অস্ত্র হচ্ছে অভিকর্ষজ ত্বরন।

এরা অনেক উচু থেকে নিজের সর্বোচ্চ গতি দিয়ে মাটিতে থাকা শিকার এর দিকে দ্রুত ছুটে আসে। আর সেই গতির সাথে যুক্ত হয় অভিকর্ষজ ত্বরন g.। যার মান 9.81ms^-2।

এই অভিকর্ষজ ত্বরনের জন্যে শিকারি পাখিটির গতি বেড়ে যায় আরও কয়েক গুন। আর মাটিতে পড়ে থাকা শিকারটি কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিকারের কবলে চলে যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন
Photo of Ad1