সরিষার তেল খাবার উপকারিতা তো রয়েছেই। কিন্তু সমস্যা হল উন্নত বিশ্বে খাটি সরিষার তেল খাবার হিসেবে বিক্রি করা নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য এটি পাওয়া যায়। এর কারন এতে এরুসিস এসিড নামের একটি যৌগ রয়েছে যা এক ধরনের ফ্যাটি এসিড এবং এটি হ্রদপিন্ডের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
সরিষার তেল সাস্থের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ কারণ এতে উচ্চ মাত্রায় এরুসিস অ্যাসিড পাওয়া যায়। এই মনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড বেশ কয়েকটি তেলে উপস্থিত রয়েছে। অল্প মাত্রায়, ইউরিকিক এসিড নিরাপদ তবে উচ্চমাত্রায় এটি সাস্থের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
প্রাণীদের উপর করা গবেষণা জানা যায় যে দীর্ঘকাল ধরে ইউরিকিক অ্যাসিড গ্রহণে তা হৃদযন্ত্রের একধরনের রোগ তৈরি করতে পারে যাকে বলা হয় মায়োকার্ডিয়াল লিপিডোসিস।
মানুষ একই মাত্রার প্রভাব অনুভব করে কিনা তা স্পষ্ট নাহলেও তবে উচ্চ মাত্রায় ইউরিকিক অ্যাসিড শিশুদের জন্য মারত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
স্টিম ডীস্টিলেশন প্রসেসে প্রস্তুত করা সরিষার তেল এফ ডি এ এ খাবার জন্য নিরাপদ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
বাংলাদেশে কোন মিলেই এই প্রসেসে এটি তৈরি করা হয়না। বেশিরভাগ মানূষ জানেইনা যে উন্নত বিশ্বে খাটি সরিষার তেল নিষিদ্ধ বা কেন নিষিদ্ধ। এই তেল নিয়মিত খেলে হ্রদপিন্ডের রোগ হতে পারে, স্ট্রোকের ঝুকি অত্যন্ত বেড়ে যায়। এই তেলের অনেক উপকারিতা থাকা সত্তেও খাবার হিসেবে ব্যবহার না করাই উত্তম।