অাসুন অ্যামবারগ্রিস সম্পর্কে জানি।
সমুদ্রের সামনেই বাড়ি। সময় কাটাতে সৈকতে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন ৪৯ বছর বয়সী থাইল্যান্ডের এক নারী । তখনই দেখেন পানির তোড়ে পাড়ে ভেসে এসেছে আজব এক জিনিস।
.
যা থেকে আবার মাছের মতো আঁশটে গন্ধ বেরচ্ছে। এরপরই সেটি বাড়ি নিয়ে আসেন পরবর্তীতে প্রতিবেশী এবং অন্যান্যদের সেটি দেখানোর পরই জানতে পারেন, সেটি অন্য কিছু নয়, বহু মূল্যবান ‘তিমির বমি’, যার ভাল নাম অ্যামবারগ্রিস ।
জানা যায়, ওই নারী যে অ্যামবারগ্রিসটি পেয়েছেন তার বাজারমূল্য ২,৫০,০০০ মার্কিন ডলার। ওই মহিলার পাওয়া অ্যামবারগ্রিসটি ১২ ইঞ্চি পুরু এবং ২৪ ইঞ্চি লম্বা।
.
‘তিমির বমি’ বা এই অ্যামবারগ্রিস আসলে বিশ্বের বৃহত্তম স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহেরই একটি অংশ। একে ‘ভাসমান সোনা’ এবং ‘সমুদ্রের গুপ্তধন’ও বলা হয়ে থাকে। মূলত ‘স্পার্ম হোয়েল’-এর শরীরেই পিত্তরস থেকে এই জিনিসটি তৈরি হয়।
.
সেখান থেকেই বমির মাধ্যমে এটি সমুদ্রে মিশে যায়। প্রথমে এর থেকে মাছের মতো আঁশটে গন্ধ বেরোলেই পরবর্তীতে খুবই সুন্দর গন্ধ বের হয়। এর ফলে এটি থেকেই সুগন্ধী তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে এই অ্যামবারগ্রিসের দামও অনেক বেশি।