Photo of Ad1

রকেটের জ্বালানি যাত্রাপথে শেষ হলে কিভাবে জ্বালানি নেয়?

 রকেটে মূলত জ্বালানি রিফিলের প্রয়োজন হয়না বা সে সুযোগ নেই। রকেট আমরা যেভাবে দেখি তাতে মূলত একাধিক অংশ থাকে। রকেটে যে জ্বালানি ব্যাবহৃত হয় তা হলো তরল অক্সিজেন। এছাড়া এতে অনেক সময় তিমি মাছের তেলও ব্যবহৃত হয়। রকেট উৎক্ষেপনের সময়, Combustion Chamber এ তরল অক্সিজেন জ্বালিয়ে যে প্রচন্ড Combustion হয় তা নিচের দিক দিয়ে নির্গত হয়। নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুসারে বিপরীত বলের কারণে রকেট তখন প্রবল বেগে উপরে উঠতে থাকে। পৃথিবীর মুক্তিবেগ (প্রায় 11.8 km/s) অতিক্রম করার জন্যই এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। রকেট যখন পৃথিবীর বায়ুমন্ডল ভেদ করে মহাকাশে নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌছে যায় তখন রকেটের মূল অংশটি প্রচন্ড ধাক্কা দিয়ে (জ্বালানি ব্যবহার করে) Combustion Chamber টি হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর Chamber টি পৃথিবীতে পতিত হয়। অন্যদিকে রকেটের মূল অংশটি তার লক্ষ্যের দিকে ধাবিত হয়। এই অংশের সমস্ত কার্যক্রমের শক্তির যোগান সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে আসে। কারণ মহাকাশে সুর্যের তাপ, পৃথিবী অপেক্ষা অনেক বেশি। তাই এই সাশ্রয়ী পদ্ধতিই ব্যবহার করা হয়।

চিত্র-- রকেট উৎক্ষেপন।

অনেক ক্ষেত্রে রকেটের মূল অংশটিকে আবারও বিচ্ছিন্ন করার প্রয়োজন হয় ( যেমন কৃত্রিম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সময়)। সেক্ষেত্রে মূল অংশে অতিরিক্ত কিছু জ্বালানি রাখা হয় যা দিয়ে সর্বশেষ অংশটিও পূর্বের ন্যায় ধাক্কা দিয়ে আবারো বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর তা সম্পূর্ণভাবে সৌরশক্তির উপর নির্ভর করে চলে। কিন্ত এতে আরো কিছু জ্বালানি থাকে যা ল্যান্ডিং এর সময় গতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এই সম্পুর্ন প্রসেসে যে জ্বালানি দরকার তা বিজ্ঞানীরা আগে হতেই হিসাব কষে নির্ণয় করেন।

চিত্র--রকেটের গঠন।

তারপরও জরুরি অবস্থার জন্য আরো অতিরিক্ত কিছু জ্বালানিও ধর্তব্যের মাঝে আন্য হয়। রকেটে সেই হিসাব (প্রয়োজনীয় + জরুরি) অনুযায়ী জ্বালানি দেওয়া হয়। যেহেতু এই জ্বালানি হিসাব কষেই নির্ণয় করে রকেটে ভরা হয়েছে তাই এক্ষেত্রে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। যদিও ফুরিয়ে যায় তখন জরুরি জ্বালানি ব্যাবহৃত হয়। এরপরেও যদি জ্বালানি দরকার হয় তখন রকেটটি বিপদের মুখে পড়ে। তখন বিজ্ঞানীরা অন্য উপায়ে তা রক্ষা করার চেষ্টা করেন। কিন্ত মহাকাশে রকেটে জ্বালানি রিফিলের কোনো সুযোগ নেই। তবে ISS বা International Space Station এর ক্ষেত্রে থ্রাস্টার গুলোকে রিফিউল করা হয়। কিন্ত ISS আর রকেট এক নয়!

এখানে একটি জিনিস খেয়াল রাখা প্রয়োজন যে, সৌরশক্তি ব্যবহার করে অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমসমূহ চালানো হয়। সম্মুখে অগ্রসরের জন্য (যদি প্রয়োজন হয়) এক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় যে ধাক্কা দিয়েছিলো তার প্রভাব অথবা নিকটস্থ গ্রহের মহাকর্ষ বল ব্যবহার করা হয়।

চিত্র--রকেটের তরল ও কঠিন জ্বালানির ক্ষেত্রে কাঠামোগত গঠনের পার্থক্য।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আমি আমার জ্ঞান অনুযায়ী আপনার উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলাম। উত্তরের ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

আরো জানতে আপনি Google এ এই বিষয়ে সার্চ করে দেখতে পারেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন
Photo of Ad1