প্লাস্টিকের ডিম চেনার সহজ কিছু উপায়
গত কয়েক বছরেই শোনা যাচ্ছে দেশের বাজারে প্লাস্টিকের ডিম ছেয়ে গেছে। চীনে তৈরি এই নকল ডিম একেবারে আসলের মতো দেখতে। তাই তো খালি চোখে দেখে বোঝা সম্ভব নয়, কোন ডিমটা আসল, আর কোনটা নকল।
প্লাস্টিকের ডিম তৈরী করতে লাগে জিপসাম পাউডার, প্যারাফিন ওয়েক্স, বেনজোয়িক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, জিলেটিন, সোডিয়াম অ্যালগিনেট এবং সেলিকাম কার্বোনেটের মতো রাসায়নিক। এই ডিম খেলে লিভার খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তো আছেই সেই সঙ্গে নার্ভ সেল ড্যামেজ এবং পেটের নানাবিধ রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।
আসল ডিমের সঙ্গে প্লাস্টিক ডিমের পার্থক্য সহজে বোঝা যায় না। তবে একটু সাবধান হলে সহজে নকল ডিম ধরা যায়।
এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে, সেগুলি হল...
- প্লাস্টিকের ডিমের খোলা খুব চকচক হবে দেখতে। কারণ আসল ডিমের খোসা একেবারেই উজ্জ্বল হয় না। এই পার্থক্য়টা দেখে সহজেই আপনি বুঝে যেতে পারবেন কোন ডিমটা আসল, আর কোনটা নকল।
- এবারে ডিমের খোসায় একটু আঙুল বোলালে ঠিক উল্টো অনুভূতি হবে। আঙ্গুল বোলালে যদি দেখেন খোসাটা মসৃণ, তাহলে বুঝবেন ডিমটি আসল। কারণ নকল ডিমের খোসা একটু হলেও খসখসে হবে ।
- আসল ডিম ভাঙার পর খুব সহজেই কুসুমটা সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। কিন্তু নকল ডিমের ক্ষেত্রে কুসুম এবং ডিমের সাদা অংশে লেগে থাকা তরল এক সঙ্গে মিশে যাবে।
- এর খোলস বেশি শক্ত। খোলের ভেতর রাবারের মতো লাইন থাকে।
- প্লাস্টিকের ডিমে কোনো গন্ধ থাকে না।
- আসল ডিম ভেঙে রেখে দিলে পিঁপড়া বা পোকামাকড় আসে। কিন্তু নকল ডিমে পোকামাকড় আসে না।
- ডিমের খোসাটা আগুনে ফেলে দেখুন । যদি সঙ্গে সঙ্গে আগুন লেগে যায়, তাহলে বুঝবেন ডিমটা নকল। প্রসঙ্গত, আগুনে পোড়ার সময় প্লাস্টিক পোড়ার মতো গন্ধও বের হবে। এই বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে।
আশা করি এবার হইত আপনি পার্থক্য বুঝতে পেরেছেন ।