এই বস্তুটির কথা বলছেন কি? এটির নাম পোশাকি নাম পাপাস(Pappus)।
প্রাকৃতিক ভাবে গাছ বংশবিস্তারের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বীজের দ্বারা করে থাকে। এবার প্রকৃতির লড়াইয়ে কোন প্রজাতির উদ্ভিদ টিকে থাকবে তা নির্ভর করে তিনটি বিষয়ের উপর; এক কত বেশি পরিমানে বীজ উৎপাদন করবে, দুই সেই বীজ প্রকৃতির বিভিন্ন শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে কতটুক সক্ষম এবং তিন, সেই বীজ কতটুক বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারবে। যত বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারবে তত বেশি টিকে থাকার সম্ভাবনা। এটি একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া যার নাম species succession।
এবার এই বীজ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নানারকম পন্থা অবলম্বন করে উদ্ভিদকূল। কেউ হয়তো এমন বীজ তৈরি করে যা জলে ভেসে ভেসে অনেক দূর যেতে পারে, কেউ এমন বীজ তৈরিকরে যা অন্যান্য প্রাণীর গায়ে এঁটে গিয়ে অনেক দূর দূর চলে যায়। আবার কেউ খুব হালকা বীজ তৈরি করে এবং তাতে প্রাকৃতিক প্যারাসুট জুড়ে দেয়। এই প্রাকৃতিক প্যারাসুটকেই প্যাপাস বলা হয়। হালকা বীজের চারপাশে থাকা এই তন্তু বীজকে অনেকে অনেক কিলোমিটার দূরে ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করে। কোন উদ্ভিদের বীজ এমন?
এর সাধারণ নাম ফিল্ড থ্রিসল বা কানাডা থ্রিসল। বিজ্ঞান সম্মত নাম- সিরসিয়াম আরভেন্স। পরিবার-এস্টারেসি । এটি একটি বহুবর্ষজীবী আগাছা। এছাড়াও একই পরিবারের অন্তর্গত ড্যান্ডেলিওনেরও(বিজ্ঞানসম্মত নাম:- টারক্সাকাম) এরকম পাপাস দেখা যায়।
চিত্র: কানাডা থ্রিসল
চিত্র:- ড্যান্ডেলিওন
তথ্যসূত্র:-Weed science basics and application by T.K. Das
চিত্রসূত্র:- গুগল।
অামি এগুলোর পিছনে ছুটে বেড়াতাম��
উত্তরমুছুন