Photo of Ad1

অাঙুল ফোটানো সম্পর্কে কিছু তথ্য।

 আমি আঙুল ফোটাই। আঙুল ফোটাতে অনেক ভালো লাগে। আসলে আঙুল ফোটানোর সময় 'পট-পটাং’ শব্দ হয় ঐটা শুনতে ভালো লাগে।

তবে হ্যাঁ অতিরিক্ত আঙ্গুল ফোটানো থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিৎ। এটা অনেক ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

আমাদের প্রত্যেক আঙ্গুলে চারটি জয়েন্ট থাকে। এগুলো আমাদের আঙ্গুলকে নড়াচড়া করতে সাহায্য করে। যখন আমরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত আঙ্গুল ফোটাই তখন অস্থিসন্ধির অভ্যন্তরীণ আর্টিকুলার কার্টিলেজের ক্ষয় বাড়তে থাকে। এটি পরে আঙ্গুলকে অস্থি সন্ধিগুলোর ক্ষয়জনিত বাত রোগ- অষ্টিওআর্থ্রাইটিসের দিকে ঠেলে দেয়। এতে আঙ্গুলের জোড়ায় ব্যথার সৃষ্টি হয়। কখনো কখনো আঙ্গুলের জোড়াগুলো ফুলে যেতে পারে। তা ছাড়া যারা আগে থেকেই অনস্টিওআর্থ্রাইটিসে ভুগছেন, যাদের অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় রোগ আছে, হাড়ের ঘনত্ব কমে গেছে, তারা আঙ্গুল ফোটালে ফ্রাকচার হতে পারে বা আঙ্গুলের হাড় ভেঙে যেতে পারে।

তবে আনগার নামের ক্যালিফোর্নিয়ার এক চিকিৎসক আঙুল ফোটালে হাড়ের কোন ক্ষতি হয় কিনা জানতে ৬০ বছর ধরে নিজের ওপর একটি পরীক্ষা চালিয়েছেন। তিনি প্রতিদিন নিয়ম করে বাঁ হাতের আঙুল ফুটিয়েছেন কিন্তু ডান হাত ধরেননি। এত দীর্ঘ পরীক্ষার ফল? দুই হাতের মাঝে কোনো পার্থক্যই খুঁজে পাননি ডক্টর আনগার। এরপরও সর্তক থাকতে বিনা প্রয়োজনে আঙ্গুল ফোটানো থেকে বিরত থাকা ভালো। আর আঙুল ফোটালেও অতিরিক্ত ফোটানো উচিৎ নয়।

আসুন আমরা জেনে নেই, আঙ্গুল ফোটালে হাড়ে শব্দ হয় কেন?

আমরা অনেকেই মনে করি আঙ্গুল ফোটালে দুটি হাড়ের সংযোগস্থলে যে ঘর্ষণের সৃষ্টি হয় তাতেই এই অদ্ভুত ‘পট-পটাং’ শব্দটা হয়। কিন্তু ব্যাপারটি মোটেই তা নয়। আমাদের শরীরের ২০৬ টি হাড়ের ৩৬০ টি সংযোগস্থলে

ছবিঃ সাইনোভিয়াল ফ্লুইড (Synovial fluid)

“সাইনোভিয়াল ফ্লুইড (Synovial fluid)” নামক একপ্রকার তরল অস্থিমজ্জা দিয়ে ভর্তি থাকে। যা অনেকটা ডিমের সাদা অংশের মত। এই ফ্লুইডটি দুটি হাড়ের নড়াচড়ার সময় তাদের মধ্যে ঘর্ষণ তথা ক্ষয় রোধ করে। আঙুল ফোটানোর সময় অস্থির মাঝে দূরত্ব কিছুটা বেড়ে যায়। এর ফলে সাইনোভিয়াল ফ্লুইডে বড় বড় কিছু বুদ্‌বুদ সৃষ্টি হয় এবং এই বুদবুদগুলো ফেটে যেতে থাকে। আর এ কারনেই শব্দটা সৃষ্টি হয়। কিন্তু এই বুদবুদ সাধারণত একইসাথে পরপর দুইবার সৃষ্টি হয় না। তাই আমরা পরপর দুইবার আঙ্গুল মোচড়ালেও ২য় বার আর শব্দ শুনতে পাই না। সাধারণত ২০ মিনিট পরপর সিনোভিয়াল ফ্লুইডে বড় বড় কিছু বুদ্‌বুদ সৃষ্টি হয় এবং শব্দ শুনা যায়।

তবে নতুন একটি তত্ত্বে ফিলাডেলফিয়ার রথম্যান ইনস্টিটিউটের হাত ও কবজির চিফ অব সার্জারি ডা. পেদ্রো বেরেজিকলিয়ান বলেন, “যখন আপনি আঙুল ফোটান কিংবা টানেন, তখন দুই হাড়ের মাঝে কিছু ফাঁকা জায়গা বের হয়। এতে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় এবং সেখানে হাড়ের মজ্জা ঢুকে যায়। হঠাৎ করে এভাবে তরল ঢোকার ফলেই সে শব্দ সৃষ্টি হয়।”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন
Photo of Ad1