ফেরাউন শব্দটি মূলত অারবি ফিরাউন হতে অাগত।ইংরেজিতে একে ফারাও(Pharaoh) বলে।
ফেরাউন ছিল প্রাচীন মিশরীয় সাম্রাজ্যের শাসক ও ধর্মীয় নেতা।ফেরাউন শব্দের অর্থ "মহান ঘর"।এর দ্বারা সম্ভবত ফেরাউনদের বসবাসের প্রাসাদকে বোঝানো হয়েছে।সাম্রাজ্যের শুরুর দিকে ফেরাউন এর পরিবর্তে রাজা বলেই অভিহিত করা হতো।
একজন ধর্মীয় নেতা হিসেবে ফেরাউনকে দেবতা ও মিশরীয়দের মাঝে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মনে করা হতো।ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা ধর্মের প্রধান হিসেবে ফেরাউনের ভূমিকা মুখ্য ছিল।একজন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তিনি অাইন প্রণয়ন, যুদ্ধ, কর অাদায় ও সাম্রাজ্যের অাধীন সমস্ত জমির তদারকি করেছিলেন।
মিশরবিদদের মতে, প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় ১৭০ জন ফেরাউন ছিল।অামি চিত্রে তাদের পরিচয় ব্যক্ত করেছি।
তাদের মতে প্রথম ফেরাউন ছিল নার্মের(Narmer)।তিনি মেনেস(মেনেস) নামেও পরিচিত।
অনেক বিশেষরা বিশ্বাস করেন যে, তিনি প্রথম শাসক।যিনি উচ্চ ও নিম্ন মিশরকে একীভূত করেছিলেন।ফেরাউনরা সাধারণরা পুরুষ ছিলেন।তবে কিছু নারী ফেরাউনও দেখা যায়।যেমন- হাতশেপসুত ও ক্লিওপেট্রা।হাতশেপসুত একজন সফল শাসক ছিলেন।তার মৃত্যুর পর তার স্মৃতিস্তম্ভ ও বিভিন্ন শিলালিপি ধ্বংস করা হয়েছিল।যাতে ভবিষ্যতে কোনো নারী অার ফেরাউন হতে না পারে।
মৃত্যুর পরে ফারাও রাজাদের সাথে ধনসম্পদ দেওয়া হতো।যাতে সে পরকালে তা ব্যবহার করতে পারে।এমনকি তাদের দাসীদেরও একই সাথে মমি বানানো হত।যাতে তারা ফেরাউনদের পরকালে সাহায্য করতে পারে।১৯২২ সালে বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক হাওয়ার্ড কার্টার ফেরাউন তুতেনখামেন এর সমাধি অাবিষ্কার করেছিল।তুতেনখামেন মাত্র ১৯ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
লেখক: প্রান্তিক সরদার স্নিগ্ধ